প্রশ্ন উঠেছে আয়া সোফিয়াকে কেনো জাদুঘর থেকে মসজিদ বানানো হয়েছে? কিন্ত এর আগে কেউ প্রশ্ন করছে না এই আয়া সোফিয়া আসলে কি ছিল? এর ধার্মিক বিবর্তন কিভাবে, কোন ঐতিহাসিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে হয়েছে। তার থেকেও বড় কথা এর নির্মাতা, নির্মাণকাল ও সংস্কার সম্পর্কিত ইতিহাসগুলো কেনো কোনোভাবে আলোচনায় আসছে না? ঐতিহাসিক আবর্তন পর্যালোচনা করা যাক–
ক. ১ এপ্রিয় ৫২৭ সালে প্রথম জাস্টিনিয়ান ও থিওডোরার রাজ্যাভিষেক হয় তৎকালীন কনস্ট্যান্টিনোপলের হ্যাগিয়া সোফিয়া চার্চে। একে আরও অনেকগুলো নামে ডাকা হয় কিংবা সে নাম বদলে গিয়েছে। বাইজেন্টিয়ন, মিকলাগাদ, মিখলাঘাদ, সারিগাদ, কোয়াস্তান্তানিয়া, বাসিলিউওসা, মেগাপোলিস কিংবা নিয়া রোমি নামে পরিচিত এই নগরের আরেক বিতর্ক কথিত হ্যাগিয়া সোফিয়া।
খ. ৫৩২-৫৩৭ সালের মধ্যে সংস্কার সাধনের মাধ্যমে নতুন কনস্ট্যান্টিনোলের চার্চ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে হ্যাগিয়া সোফিয়া।
গ. ৯৪০-১০২০ সালের দিকে সবথেকে বড় সংস্কারের কথা বলা আছে প্রচলিত জনপ্রিয় ইতিহাসে। কিন্ত অতি সতর্কতার সঙ্গে একটি বিষয় এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। সেটা হচ্ছে চতুর্থ ক্রুসেডের নৃশংসতা। চতুর্থ ক্রুডের সময় ক্যাথলিক খ্রিস্টানরা অর্থডক্স খ্রিস্টানদের পুরোপুরি কচুকাটা করে। তারা পুরো কনস্ট্যান্টিনোপল শহরকে শ্মশানে পরিণত করে। অনেকে বলে থাকেন হালাকু খান বাগদাদ দখলের পর যে বীভৎসতা দেখিয়েছিল তার থেকে কোনো অংশে কম ছিল না ক্যাথলিকদের হাতে অর্থডক্স খ্রিস্টানহত্যার এই জঘন্য নারকীয়তা।
চতুর্থ ক্রুসেডের সবথেকে ভয়ানক দিক হচ্ছে লাইব্রেরীতে আগুণ লাগিয়ে দেয়া। লাইব্রেরী পোড়ানোর যে দায় সুলতান ফাতিহ মুহাম্মদের উপর দেয়া হয় ১২০৪ সালের ক্রুসেডেই সেই লাইব্রেরী আসলে পুড়িয়ে ফেলেছিল ক্যাথলিকরা। লাইব্রেরির প্রতি তাদের আক্রোশের কারণ লাইব্রেরিকেন্দ্রিক বিজ্ঞানচর্চা ও বিশপের বিরোধিতা। যাই হোক তারা এসময় চার্চ অফ হোলি এপসলস এবং হ্যাগিয়া সোফিয়াকে অর্থডক্স চার্চ থেকে ক্যাথলিক চার্চে জোরপূর্বক রূপান্তর করে।
হ্যাগিয়া সোফিয়ার এই বদল থেমে থাকেনি। ১০৫৪ সালে হ্যাগিয়া সোফিয়ার উপর অধিকার নিয়ে একটি প্যাপাল বুল জারি করেছিলেন পোপ লিও। এরপর ১২৬১ সালে রোমান পালাইলোগোস ডাইন্যাস্টির অষ্টম মাইকেল আবার যখন নতুভাবে কন্সটান্টিনোপল জয় করেন তখন আবার হ্যাগিয়া সোফিয়াকে অর্থডক্স চার্চে পরিনত করা হয়।
ইতিহাসের বাঁক বদলে ১৪৫৩ সালে উসমানীয়/ওথমান/অটোমান খলিফা ফাতিহ মুহাম্মদ কনস্ট্যান্টিনোপল জয় করেন। বিক্রির দলিল উত্থাপনের মাধ্যমে অনেকে দাবি করেছেন সুলতান ফাতিহ মুহাম্মদ কনস্ট্যান্টিনোপল/ ইস্তাম্বুল বিজয়ের পর খ্রিস্টান ধর্মীয় নেতাদের কাছে এটি কিনে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়ছিলেন। রাষ্ট্রীয় কোষাগারের অর্থে নয়, বরং নিজের ব্যক্তিগত খরচে তিনি গির্জাটি কিনে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এই ধরণের ঘটনা সমৃদ্ধ অর্থনীতির দেশ আমেরিকাতেও এখন হরহামেশা ঘটছে। খেয়াল করলে দেখবেন সেখানেও এখনও গির্জার স্থাপনা বিক্রি করে দেওয়ার ঘটনা ঘটছে। পরে সেগুলো মসজিদও হচ্ছে।
উসমানীয়/ওথমান/অটোমান সুলতান ফাতিহ মুহাম্মদ আয়া সোফিয়া কিনে নেয়ার যে প্রস্তাব দিয়েছিলেন তাতে হ্যাঁ সূচক জবাব আসে তৎকালীন গির্জার তত্ত্বাবধায়কদের পক্ষ থেকে। অর্থলোভ কিংবা নিজের পকেট ভারী করার ইচ্ছে থেকে হোক কিংবা ধর্মীয়ভাবে প্রান্তিক হয়ে পড়ার কারণে হোক তৎকালীন খ্রিস্টান নেতারা হ্যাগিয়া সোফিয়া বিক্রি করে দিয়েছিলেন। অনেকে সুলতান ফাতিহ মুহাম্মদের কিনে নেয়ার ভাউচার বিল সরাসরি উত্থাপন করছেন। অনেকগুলো তুর্কি গণমাধ্যমের পাশাপাশি আল জাজিরা পর্যন্ত এটা নিয়ে মাথা ঘামিয়ছে ঢের।

ইসলাম ধর্মের আবেগ, সেকুলারিস্ট প্রপাগান্ডা নাকি ইতিহাস কোনটা গুরুত্ব পাবে? খেয়াল করুন প্রিয় পাঠক। উসমানীয় সুলতান ফাতিহ মুহাম্মদ যখন গির্জা থেকে হ্যাগিয়া সোফিয়াকে কিনে নিলেন (?) কিংবা জোরপূর্বক (?) মসজিদে রূপান্তরিত করলেন তখন খ্রিষ্টানবিশ্ব কেনো এর প্রতিবাদ করেনি? প্রতিবাদ যদি করে থাকে তার ঐতিহাসিক দলিল থাকার কথা। অন্যদিকে তখনকার খ্রিস্টান নেতারা যে হ্যাগিয়া সোফিয়া বিক্রি করেছিল তার দলিল হাজির করেছে তুর্কিরা।
এবার প্রশ্ন উঠতে পারে পশ্চিমা বিশ্বকে খুশি করতে গিয়ে ক্যাঙ্গারু কামাল চেয়েছিল হ্যাগিয়া সোফিয়া আবার গির্জা হোক। সে সেটা করতে পারেনি তুর্কি জনগণের বিপ্লবের ভয়ে। অন্যদিকে সে এটাকে মসজিদও রাখেনি, করে দিয়েছে জাদুঘর। লজ্জার বিষয় বিষয় একটা বিখ্যাত মসজিদ যখন জাদুঘরে রূপ নিল তখন কোনো মুসলিম সম্প্রদায় কি প্রতিবাদ করেছিল? যদি করে থাকে তাহলে তো ক্যাঙ্গারু কামালের চাপে থাকার কথা। যাই হোক প্রতিবাদ করলেও তা তখন ফলপ্রসূ ছিল না।
এবার আসি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের ইন সিটু সংরক্ষণের ব্যাপারে। এইভাবে সংরক্ষণ করতে গেলে প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনকে সাংস্কৃতিক অনুশীলনের মধ্যে রাখতে হয়। ঠিক এই প্রশ্ন উত্থাপন করলে আমরা বাংদেশেও একটি গুরুতর অন্যায় কাজ করে আসছি। সেটা হচ্ছে হিন্দুধর্মীয় ইস্ট দেবতার মূর্তিকে আমরা জোর করে ঐতিহ্য নিদর্শন বানিয়ে ফেলেছি। যে মূর্তির থাকার কথা মন্দিরে তা আজ শোভা পায় জাদুঘরে। হিন্দু ধর্মীয় নেতারাও কখনও এটার প্রতিবাদ করে না। অন্যদিকে প্রত্নতাত্ত্বিকরাও কখনও বলছে না যে মূর্তিগুলোকে জাদুঘরে আটকে না রেখে তার সাংস্কৃতিক অনুশীলনের জায়গা তথা মন্দিরে ফেরত দেয়া হোক।
আমরা ভুল করে মন্দিরের মূর্তি তুলে এনে জাদুঘরে রেখে দিয়েছি। আমরা মসজিদের নকশা খুলে এনে জাদুঘরে বসিয়ে দিয়েছি। আমরা জমিদারবাড়ির দরজা খুলে এনে রেখে দিয়েছি জাদুঘরে। এমনকি ঐতিহ্য নিদর্শন প্রাচীন কোনো এক খাটে ঘুমাচ্ছেন জনৈক আমলা এমন সংবাদও দেখেছি বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায়। সে হিসেবে আমরা সবকিছুতেই একরকম জাদুকরী জাদুঘর কল্পনা করে নিতে অভ্যস্থ।
তুরস্ক সরকার চেয়েছে তার সাংস্কৃতিক অনুশীলনে ফিরে যেতে। সে হিসেবে তারা ক্যাঙ্গারু কামালের কথিত জাদুঘর বদলে মসজিদের অবস্থানে ফিরে গেছে। যদি আজ তুরস্কে খ্রিস্টান শাসন থাকতো অবশ্যই হ্যাগিয়া সোফিয়াকে তারা গির্জায় রূপ দিতো। সে হিসেবে হ্যাগিয়া সোফিয়ার হয় মসজিদ নয় গির্জা হিসেবে থাকার কথা। যদি তা নাই থাকে, যদি আদি অবস্থানের কথাই বলতে হয় তবে সেটা যাই হোক অবশ্যই জাদুঘর নয়।
এটাকে প্রাচীনতম সত্তাতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ করতে গেলে হয় প্যাগান উপাসনালয়, কিংবা ফ্রিম্যাসন হল হিসেবে ব্যবহার হওয়ার কথা। সে বিরাট বিতর্ক। এখানে উপাসনা করার জন্য প্যাগানদের থাকা তো লাগবে? আর প্যাগানরা যেহেতু এখানে নেই। অন্যদিকে মসজিদ হিসেবে বিক্রি হয়ে যাওয়া এই স্থাপত্যের হস্তান্তর দলিল পর্য্ন্ত হাজির করেছে তুরস্ক। ফলে হাজার বছরের ইতিহাস নাড়াচাড়া করতে গেলে শুধু বিপর্যয়ই বাড়ে।
ইতিহাস থেকে সেকুলার আবেগ প্রাধান্য দেয়া বোকার দল দাবি করছে ‘হ্যাগিয়া/আয়া সোফিয়া আগে ছিল চার্চ। প্রায় ১০০০ বছরের জন্য তা চার্চ হিসেবে প্রচলিত ছিল। সুলতান ফাতিহ মুহাম্মদ সম্রাট কন্সটানটাইনকে হারানোর পর আয়া সোফিয়াকে বিজয়ের প্রতীক হিসাবে জোরপূর্বক মসজিদে রূপান্তরিত করেন।’ কিন্ত তুরস্ক স্পষ্ট দাবি করেছে এর উল্টোটা। তারা বলছে ‘সুলতান ফাতিহ মুহাম্মদ কোনো চার্চকে মসজিদ বানাতে চেষ্টা করেন নাই। উপরন্ত তিনি বিক্রয়যোগ্য অবকাঠামোকে কিনে নিয়ে রূপ দিয়েছেন মসজিদে।
কিন্ত তিনি কিভাবে কিনলেন তো নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। সহজ উত্তর খুঁজতে পারেন এভাবে যে যুদ্ধে হেরে যাওয়ার পর চার্চ কমিটির পক্ষে এতো বড় স্থাপনার রক্ষণাবেক্ষণ খরচ যোগানো অসম্ভব ছিল। অন্যদিকে মুসলিম ভূখণ্ডে তারা আগের মতো ধার্মিক খ্রিশ্চিয়ানদের অনুদানও আশা করতে পারেননি। ফলে এই চার্চ নিয়ে টিকে থাকা তাদের জন্য অসম্ভব ছিল। ফলে সাধারণ একটা স্থাপত্যিক অবকাঠামোর মতো এই চার্চটি তারা বিক্রি করে দিয়েছিল মুহাম্মদ ফাতিহ এর কাছে। এতে করে বিশপদের পকেট ভারী হোক, আর চার্চের মালিকানায় হাতবদল হোক নিজের টাকায় কেনা অবকাঠামোকে মসজিদে রূপান্তর করেন সুলতান ফাতিহ।
এখন যারা লিবারেল ইসলামের ধুয়ো তুলে এই স্থাপনার মসজিদে রূপান্তরের সমালোচনা করছেন তাদের বোঝা উচিত এমন কোনো স্থাপত্যকে মসজিদ বানানো হয়নি যেখানে খ্রিস্টানরা ধর্ম পালন করে। যদি তাই হতো তবে তার ঘোর বিরোধিতা করতাম। কিন্ত মূল ভ্রষ্টাচার করেছে কথিত আতাতুর্ক, আমার হিসেবে ক্যাঙ্গারু কামাল। পশ্চিমের সমর্থন লাভের আশায় খেঁকি কুকুরের মতো জিহ্বা বের করে পা চেটে যাওয়া এই লোকটাই বরং বেইমানি করেছে নিজ জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে। পূর্বতন শাসকের ব্যক্তিগত নগদ টাকায় কিনে প্রতিষ্ঠা করা ৫০০ বছরের চলমান একটি মসজিদকে বন্ধ করেছিল সে। যদি কোনো অপরাধ থেকে থাকে সেটা ক্যাঙ্গারু কামালের, কারণ সে মসজিদে নামাজ পড়া বাতিল করে সেটাকে জাদুঘর বানিয়েছিল।

এর তুলনায় প্রমাণিত দলিল যেখানে বলছে আয়া সোফিয়াকে কিনে নিয়ে মসজিদ বানানো হয়েছিল, সেখানে তার জাদুঘর হিসেবে থাকার কোনো সুযোগ নাই। যদি থাকতে হয় এটাকে থাকা উচিত প্যাগান উপাসনালয়, ফ্রিম্যাসন হল, মসজিদ কিংবা গির্জা হিসেবে। আরও সংক্ষেপে বলতে গেলে গির্জা কিংবা মসজিদ হিসেবে। তবে বড় প্রশ্ন গির্জা হিসেবেই তো দুইবার বদল হয়েছে। তাহলে কোন গির্জা হবে এটি?
তার থেকে বড় কথা মসজিদ হিসেবে এর সাংস্কৃতিক অনুশীলনের দলিলটি যেহেতু রক্তপাতের নয়,বরং অর্থের বিনিময়ে কিনে নেয়া। সেহেতু একটাকে মসজিদ বানানো হলে ঐতিহাসিকভাবে কেনো সমস্যা থাকার কথা নয়। প্রশ্ন উঠতে পারে গির্জার স্থলে কেনো মসজিদ? প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে তুর্কিরা। তারা বলছে ফাতিহ মুহাম্মদ এটা কিনে নিয়েছিলেন। এবার প্রশ্ন করেন জাদুঘর বদলে কেনো মসজিদ? সহজ উত্তর যেটা আগে আগে মসজিদ ছিল সেটা কিভাবে জাদুঘর হয়? তার থেকেও বড় কথা মসজিদ জাদুঘর হওয়াতে যদি তখন কোনো সমস্যা না হয়ে থাকে, এখন জাদুঘর মসজিদের আগের রূপে ফিরে গেলেও গেঞ্জামের কিছু নাই। আসুন আল জাজিরার কথা নিচের ভিডিওটি দেখে নেই। তাহলে অনেকের ধারণা স্পষ্ট হবে।
পাদটীকাঃ
প্রাসঙ্গিক ধিক্কার এবং গালি দিয়ে নেয়া যাক। অনেক নোংরা এবং বর্ণবাদী শোনালেও ভয়ানক সত্যটা হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে নিকৃষ্ট ধার্মিক এবং মতাদর্শিক হচ্ছে মুখে ইসলামের কলেমা পড়া বাদামী চামড়ার ক্যাথলিকগুলো। গ্রামগঞ্জে থাকতে এরা পুরো দস্তুর পীর-আউলিয়ার মত বেশ ধরে থাকে। তারপর কোনো সুযোগ পেয়ে দেশের বাইরে যেতে পারলে প্রথম কাজ হিসেবে ঘাড়ে ক্রুশের ট্যাটু করায়। মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের দুইবারও তাদের দেখা যাক কিংবা না যাক, এদের ধর্মকর্ম চলে বেশিরভাগ বিভিন্ন উন্নতবক্ষের উরুপ্রদর্শী নারী মডেলদের পেইজে। চোখের ব্যায়াম করার মতো ছবিগুলো হা করে দেখার পর এদের চিরচেনা মন্তব্য থাকবে ‘Kanke mage Tora Cude’। স্থান-কাল-পাত্র এমনকি জেন্ডারভেদে এদের মন্তব্যের হেরফের হয় খুবই কম।
এক গর্দভ গতকাল দেখলাম আয়া সোফিয়াকে জাদুঘর থেকে মসজিদে রূপান্তর করায় দুইচোখের পানি ঝরানো আবেগী পোস্ট দিয়েছে। ওখানে মন্তব্য করে সময় নষ্ট করিনি, শুধুমাত্র হা হা রিয়্যাকশন দিয়ে সরে আসলাম। পরে দেখি গাধাটা শুধু আনফ্রেন্ডই করেনি, একটু পর ব্লক দিলো। আসলে সে আমার প্রতি বিরক্তি প্রদর্শন করলো নাকি, নিজেকে শান্তনা দিল কে জানে? ঐ গাধার রাসভ চিৎকার গলা টিপে বন্ধ করার আগে বলে নেয়া উচিত আয়া সোফিয়া কি শুরুতে গির্জাই ছিল? যদি গির্জা হিসেবেই এর যাত্রা শুরু হয়ে থাকে তবে তার নির্মাতা আসলে কে? আদি এবং আসল নির্মাতা হিসেবে যার নাম আসছে সে কোন পরিপ্রেক্ষিত থেকে এটাকে নির্মাণ করেছে সেটা স্পষ্ট করাও বেশ জরুরি।