পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে গিয়ে প্রত্যেক শিক্ষার্থী কত লাইন পড়েছে, তার হিসাব সে যেমন রাখে না, তেমনি তার থেকে কয়েক গুণ আন্তরিকতা নিয়ে পত্রিকার পাতায় চোখ বুলানো মুরব্বিও একটা সময় দেশের সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা ভুলে যান অজান্তেই। তবে হ্যাঁ, এত স্মৃতি-বিস্মৃতির দোলাচলে কিছু সংবাদ কর্ণকুহরে নিত্য নিনাদ করে চলে আমৃত্যু। পত্রিকার পাতাজুড়ে ছাপা হওয়া কিছু সংবাদ অনেকটা হরর মুভির গল্পের ছলে চোখের সামনে ভাসতে চায়। ভালো-মন্দের মিশেলে নিপীড়ক-নির্যাতিত উভয় দিক থেকেই কিছু নাম ভুলতে অনেক কষ্ট হয় সবার। এই যেমন গাইবান্ধার তিশা, পরিমল, পান্না মাস্টার, টুটুল, রাজন, তনু, আপন জুয়েলার্স কেলেঙ্কারি রাউধা আতিফ কিংবা সেভাবে নাম-খবর চাউর না হওয়া আরো অনেকে। কিংবা পেশায় চিকিৎসক শেহজাদি আফসা হত্যার খবর ঠাঁই পেয়েছিল অখ্যাত কিছু পত্রিকার মাঝের পাতায়। বিপরীতে তরুণ আরেক ডাক্তার মুরাদের হত্যাকাণ্ড একমাত্র ফেসবুকের মতো মাধ্যম বাদে কারো চোখে পড়েনি।
আমরা অবিশ্বাস করে অবুঝ মনকে সান্ত্বনা দেই, কিন্তু বাস্তবতা অস্বীকার করি এমন সাধ্য কার? একটি মৃত্যুর সংবাদ অনেক শোকের, তবে এ মৃত্যু যখন দুটি, তিনটি, চারটি করে বেড়ে গিয়ে পৌনঃপুনিক রূপ নেয়, তখন সেটা আর শোক সংবাদ থাকে না। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হয়ে যায় নিছক একটি পরিসংখ্যান। তাই তো শিশু নির্যাতন নিয়ে কান্নাকাটি করতে করতে চোখের ধুলিয়ানে গড়ে উঠেছে ফারাক্কা বাঁধ, অনেক বড় কোনো শোকের মাতম উঠলে তার স্লুইস গেট খোলে, ঝরে পড়ে দু-এক ফোঁটা অশ্রু, যা আবার আরেকটি শোক সংবাদে নিমেষেই মুছে যায়। সবাই এখন তাই ইচ্ছে-অনিচ্ছেয় শোকসহনীয় মনোবৃত্তি লালনকারী হিসেবে নিজেকে বেশ প্রতিষ্ঠিত করেছেন বলা যায়। তাই কাগজে-কলমে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে শুধু গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের সুযোগ আছে, এর বাইরে ভিক্টিমদের আর্তনাদ করে চারপাশের বাতাস ভারি করে তোলার অধিকার আছে। এর বাইরে প্রচলিত আইনে মামলা করার অধিকার তাদের আছে, কিন্তু বিচার কোনো দিন হবে কি হবে না, সেটা একমাত্র স্রষ্টাই জানেন। তাই এ ধরনের দুর্ঘটনার সংবাদ টিকে আছে শুধু মানুষের মর্মে, আর্তনাদে পরিসংখ্যানে। আর যদি তাই না হয়, তবে গত চার বছরের ব্যবধানে ১ হাজার ৮৫ জন শিশু হত্যার সংবাদ আমাদের শঙ্কিত করেছে, সতর্ক করেছে কিন্তু অন্যায় রুখতে পারার মতো সক্ষম করেনি। উপরন্তু এ বছরের গোড়ার দিকের দুই মাসেই ৪৯ জন শিশুকে ঠেলে দেয়া হয়েছে মৃত্যুর দিকে। আমরা যারা দুই লাইন লিখি কিংবা গণমাধ্যমে দু-এক মিনিট বক্তব্য দিতে চেষ্টা করি, তাদের তথ্যসূত্রের উৎস থানায় আসা অঘটনের যোগফল মাত্র। এখানে বলে রাখা ভালো, বেশির ভাগ অঘটন ঘটছে নিম্নবিত্তের সঙ্গে, যারা বারবার তার প্রতি ঘটে যাওয়া অবিচারের ব্যাপারে নীরব। অন্যদিকে নিম্ন মধ্যবিত্ত কিংবা মধ্যবিত্তরা এ ব্যাপারে কালেভদ্রে মুখ খুলছে। ফলে তাদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া অন্যায়গুলো থেকে যাচ্ছে পরিসংখ্যানের বাইরেই।
দৈনিক পত্রিকাগুলো যারা প্রতিদিন না পড়লেও অন্তত পাতা উল্টে দেখেন, তারাও হাতের আঙুল গুনে কিছু অঘটনের কথা মনে করতে পারবেন। বিশেষ করে রাজধানীর বনশ্রীতে দুটি শিশুর অস্বাভাবিক মৃত্যু নতুন করে ভাবতে বাধ্য করছে আমাদের। তাদের আসলে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছিল। পুলিশের হিসাবে তাদের মা-বাবাসহ নিকটাত্মীয়ের অনেকেই বাদ পড়েনি সন্দেহের তীর থেকে। গত বছরে ডিসেম্বরের দিকে শোনা গিয়েছিল ‘নীলফামারীর এক মা তার দুই শিশুকন্যাকে মেরে ফেলার পর নিজেকেও শেষ করে ফেলেছেন।’ আমার শৈশব যে কুষ্টিয়া শহরে কেটেছে, দীর্ঘ দুই বছর পর একটা দুঃসংবাদ শুনেছিলাম সেখান থেকেই। জনৈক যুবক তার প্রতিবেশী কলেজছাত্রকে হত্যার পর নিজেও বেছে নিয়েছে আত্মহননের পথ। ফলে দেশের প্রচলিত আইনে তাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর সুযোগ পর্যন্ত মেলেনি। এমন তিনটি সংবাদ পাওয়া গেছে রাজধানীর গুলশান ও বাড্ডা থেকে, যেখানে শিশু গৃহকর্মীর ওপর নির্যাতন করেছে গৃহকর্ত্রী। তার অন্যায় অত্যাচারের প্রতিশোধ এসেছে আরো নারকীয়ভাবে, তার শিশুসন্তানের ওপর। তার অনুপস্থিতিতে ক্ষিপ্ত গৃহকর্মী তার শিশুকে দেখভালের বদলে জঘন্যভাবে মারধর করার পাশাপাশি যৌন নিগ্রহের চেষ্টা পর্যন্ত করেছে, এমন প্রমাণ মিলেছে। যখন শোনা যাচ্ছে, ঐশীর মতো কেউ তার মা-বাবাকে হত্যা করছে কিংবা পরকীয়া আসক্ত মা-বাবা মৃত্যুমুখে ঠেলে দিচ্ছে তার শিশুকে; প্রতিকার দূরে থাক, এটা নিয়ে ভাবতে গেলেও গা গুলিয়ে আসাটা স্বাভাবিক!
যখন শুনবেন আপনার সন্তানের জন্মদাতা মা, হবু স্ত্রী কিংবা সবচেয়ে প্রিয় কেউ শৈশবে তারই কোনো আত্মীয়ের দ্বারা নিগ্রহের শিকার, তখন এর কী সমাধান আছে আপনার কাছে? সত্যি বলতে এমন অপ্রত্যাশিত দুর্ঘটবর্ণন সরল চিন্তায় অসম্ভব। এক্ষেত্রে ঘাতক এবং জিঘাংসার শিকার ব্যক্তিটির শেষ পরিণতি জীবনের পরিসমাপ্তিতে, সেখানে তাদের বিচার করবে কে? প্রচণ্ড হতাশা, জঘন্য হিংসা, সীমাহীন অসহায়ত্ব, হঠাত্ জেগে ওঠা দুর্বিনীত রাগ, ব্যর্থ প্রেম, পরকীয়া, বিশ্বাসঘাতকতার শাস্তি কিংবা নিছক স্বার্থ থেকেও ঘটছে এমন হত্যাকাণ্ড। এসব ঘটনার পর সবচেয়ে বড় প্রশ্ন উঠছে একটা বিষয় নিয়ে আমাদের সমাজ কাঠামো ভঙ্গুর, রাষ্ট্রযন্ত্রও ভেঙে পড়েছে, তাহলে নৈতিক শিক্ষাগুলো কোথায় গেল? সব প্রশ্নের উত্তর একটাই— বিশ্বায়নের বর্বরতায় ধর্ম চলে যায় রবি কিংবা শুক্রবারের নির্বাচনে। নির্বাচনের নামান্তরে ঢিমেতালে টিকে থাকা গণতন্ত্র ভোটের ষড়যন্ত্র এড়াতে ব্যস্ত থাকে, মানবাধিকার নিয়ে ভাবনার সময় থাকে না রাষ্ট্রযন্ত্রের। এদিকে অপকর্মের নৈতিক ও সামাজিক বৈধতা নিয়ে তাকে স্বাভাবিক করার জন্য মিডিওকারের ভূমিকা নেয় কিছু অপরাধী। যেমন ধর্ষণ, খুন, জখমকে সাধারণ বানিয়ে ফেলে বিনোদনের নামে চলা চলচ্চিত্র, সমাজ কাঠামোকে ভেঙে ফেলার কথা বলে পোস্ট মডার্ন অভিজ্ঞান ভ্রষ্টাচারকে বৈধ করার চেষ্টা চলে।
আমরা দেখছি, দুর্বিনীতি হিপ্পিস্টাইল বাতুলতাকে বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গে একই ব্লেন্ডারে মিশিয়ে তৈরি করা হচ্ছে আধুনিক সমাজ কাঠামোর লাচ্ছি। এ সমাজ শিশুকে সঠিক সামাজিকীকরণ থেকে বঞ্চিত করছে, তার মায়ের নিরাপত্তা দিতে পারছে না। তার বাবাকেও বানিয়ে তুলছে নরপশু। এখানে ভঙ্গুর রাষ্ট্রযন্ত্র এমনিতেই নারীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ, সেখানে অনর্থক অবাধ যৌনাচারের প্রচার-প্রচারণা আকৃষ্ট করছে লোলুপ দৃষ্টির নরপশুদের। আফ্রো-ক্যারিবিয়ান সাইক্রিয়াটিস্ট ফ্যাঞ্জ ফ্যানোর (Frantz Fanon) বর্ণনা থেকে আমরা এ অসহনীয় সময়ের ব্যাখ্যা খোঁজার চেষ্টা করি মাঝে মধ্যে। ১৯৫২ সালের ফ্রান্স ছিল উপনিবেশ যুগের সবচেয়ে ভয়ানক উদাহরণগুলোর একটি। তারা আলজেরিয়ার মানুষের ওপর স্কন্ধের মতো চেপে বসে চালাচ্ছিল অসহনীয় অবিচারের স্টিম রোলার। আর ফ্যানো সেখান থেকেই নিয়েছিলেন তার যুগান্তকারী গবেষণার সারবস্তু। তাঁর গবেষণার সারবস্তু থেকে দেখা যায় অনেক সময় ধরে মানুষ যদি সীমাহীন অপমান, মানসিক পীড়ন, বিচারহীনতা ও যন্ত্রণার মধ্যে পার করে, তার হূদয়ের সুকুমারবৃত্তি লোপ পেয়ে সেখানে জন্ম নেয় পশুপ্রবৃত্তি।
হিসাব করলে দেখা যায়, বাংলাদেশের সিংহভাগ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা মেধাবীরা কর্মহীন। কিংবা তাদের অনেকই ঈপ্সিত চাকরি থেকে বঞ্চিত। তাদের থেকে অপেক্ষাকৃত অযোগ্যরা তাদের ওপর ছড়ি ঘোরাচ্ছে। সবচেয়ে সত্ মানুষটিই সামাজিক নিগ্রহের শিকার হচ্ছেন বারবার। প্রশাসনের সুনজরে থেকে কেউ দিনের পর দিন আশপাশের মানুষকে জ্বালিয়ে মারছে। এর বিপরীতে তাদের কেউ যদি সহিংস হয়ে ওঠে, তখন রুখে দাঁড়ায় সাধ্য কার। সীমাহীন ক্ষমতার সামনে ঝুঁকে থাকা মানুষের আর্তনাদ যখন প্রতিবাদের গনগনে আগুন হয়ে আসছে, তার ভিক্টিম হচ্ছে খোদ সাধারণ মানুষই। ক্রোধের এই স্থানান্তর সময়ের আবর্তে আমাদের সমাজকে যেখানে নিয়ে দাঁড় করিয়েছে, সেখান থেকে ফিরে আসার সম্ভাবনা ম্লান হয়ে আসছে দিনের পর দিন।
নরপশুদের নারকীয় তাণ্ডবে প্রজন্ম যখন শুনছে নরক গুলজার, ঠিক তখনই অপরাধীদের আরো উস্কে দেয় আমাদের জঘন্য বিচারহীনতার সংস্কৃতি। এক আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পরিসংখ্যান থেকে দেখা যাচ্ছে— ২০১২ সালেই বাংলাদেশে ১ হাজার ৮টি ধর্ষণের খবর প্রকাশিত হয়েছিল নানা দৈনিকে। তার মধ্যে ৯৮ জন হত্যার শিকার হলেও বিচারের আওতায় আনা সম্ভব হয়নি শতকার ১০ ভাগ ধর্ষককে। অন্যদিকে জাত বেকুবও খুব ভালো করে জানে যে, এর বাইরে প্রায় ৯০ শতাংশ অভিযোগ ঘটনাস্থল থেকে গড়িয়ে থানা পর্যন্ত আসতেই পারেনি। আপন জুয়েলার্সের ঘটনা থেকে আমরা কমবেশি জানি যে, ক্ষমতাকাঠামোকে বশে আনা গেলে কীভাবে বিচারের থেকে উতরে যায় জঘন্য অপরাধী। এদিকে সবচেয়ে বড় বিপদ হচ্ছে অপরাধ প্রমাণের দায়িত্ব অভিযোগকারীর। কিন্তু আদালতে অভিযোগকারীর পক্ষে আলামত রক্ষা করাটা সম্ভব, সেটা নিয়ে আর প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই, বরং সবাই জানেন যে, প্রভাবশালী অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মানুষ যেখানে সাক্ষ্য দিতে ভয় পায়, সে কতটা সহজে প্রমাণ লোপাট করে দিতে সক্ষম।
নিপীড়ক কিংবা ধর্ষকদের শাস্তি দিতে গেলে আমাদের অনুশাসনের বাইরে থাকা ধর্ম হয়ে উঠছে বড় বর্ম। হয়তো যে ভণ্ড লোকটি সপ্তাহের সাতদিনে একদিনও মসজিদের ত্রিসীমায়-মন্দিরের চৌকাঠে পা রাখেনি, সেও বলে উঠছে ‘মেয়েটার পোশাক চালচলন ভালো না, এ নষ্টা মেয়ে সমাজে জায়গা পাবে না, কারণ সে অধর্ম করেছে’। এর থেকে সুযোগ নিচ্ছে গণ্ডমূর্খ নারীবাদী নামের আপদগুলো। তারা বলে বসছে ধর্মই নারী নির্যাতনের মূল হাতিয়ার। কিন্তু তারা ঘুণাক্ষরেও জানছে না খোদ ইসলাম ধর্ম বলছে ‘তোমরা জিনা ব্যভিচারের ধারে-কাছেও যেও না’। আর ইহুদি থেকে ইসলাম ধর্ম সবখানে ধর্ষকের একই শাস্তি ‘পাথর নিক্ষেপে মৃত্যুদণ্ড’। শেষ পর্যন্ত সুবিধাভোগী একপেশে বকধার্মিক, মূর্খ সেক্যুলাঙ্গার আর ভঙ্গুর সমাজকাঠামো সবখান থেকে ধর্ষকের পক্ষের যুক্তিই হয়ে উঠছে জনপ্রিয়। তারা বুঝে ফেলেছে তাদের দ্বারা আক্রান্ত একজন নারীর পক্ষে প্রকাশ্য প্রতিরোধে আসা কত কঠিন। একদিকে কথিত সমাজের সামনে কলঙ্কিত জীবনের শঙ্কা, সবখানে বর্জিত হওয়ার হুমকি-ধমকি আর আমৃত্যু মাথা হেঁট হয়ে থাকার ভয় তাদের তাড়া করে। শেষ আশ্রয়স্থল পরিবার দূরের কথা, মা-বাবা এবং ভাই-বোনের চোখেও সে হয়ে ওঠে ‘খুব খারাপ নোংরা একটা মেয়ে’ তিনি হবেন ‘খারাপ’। ফলে সামাজিক কাঠামোর অস্বাভাবিকতায় চির উন্নত মম শির ধর্ষকের বিপরীতে আমৃত্যু চিরনতশির নারীর মৃত্যুই শ্রেয় হয়ে ওঠে কালান্তরে।
দিল্লির ‘দামিনী’কেই যেখানে ক্রিকেটের ধারাবর্ণনার মতো অন্তত ১০ বার পুলিশের কাছে ধর্ষণের বিবরণ দিতে হয়েছিল, সেখানে বাকিদের কথা না হয় বাদই যাক। এক্ষেত্রে শরীরী আক্রমণে হামলে পড়ছে ধর্ষক আর জেরার নামে ধর্ষিতার সম্মানহানির গুরুদায়িত্বটা বর্তাচ্ছে সমাজের ওপরই। যত দিন পক্ষ-বিপক্ষ কাদা ছোড়াছুড়ি আর এনজিওগুলোর নারী অধিকার ব্যবসা চলবে। যত দিন ধর্ম কিংবা নাস্তিক্যবাদী তত্ত্বকথার ব্যবসায়ীরা তাদের আখের গুছিয়ে নিতে চেষ্টা করবে, তত দিন এ নিপীড়ন থামবে না। এখানে কারো গোষ্ঠী কিংবা সম্প্রদায়ের নামে দোষ দিয়ে ধর্ষককে আড়াল করার সুযোগ নেই। তার সরাসরি শাস্তি নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি যদি সত্যিকার সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা যায়, তবেই এদের প্রতিরোধ করা যাবে। পাশাপাশি নারী অধিকার প্রতিষ্ঠার নামে যে সব অপদার্থ অকাল তত্ত্বজ্ঞানী পুরুষ বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে, তারাও এ অঘটনের পেছনে দায়ী। যেহেতু নারী-পুরুষ উভয় মিলেই সমাজ, সেখানে শান্তিপূর্ণ সহযোগিতামূলক সহাবস্থানই পারে এ নিগ্রহ থেকে প্রজন্মকে রক্ষা করতে। এর বাইরে যারা আজগুবি বর্ণনাকে আশ্রয় করে সংস্কারের মাতম তুলবে, তারাই কোনো না কোনোভাবে নিপীড়কের সহচর কিংবা সহমর্মী।