দীপেশ চক্রবর্তী! একটা নাম, একজন ইতিহাসবিদ। কেউ কেউ বলবেন তিনি নিজেই এখন ইতিহাস। একটু পেছনে যাই। পোস্ট কলোনিয়াল থিওরি এবং সাব-অলটার্ন স্টাডিজের অন্যতম হর্তকর্তা এ শিক্ষাবিদ উচ্চশিক্ষার প্রথমে খুব সম্ভবত পদার্থবিদ্যার স্নাতক এরপর এমবিএ পাস। পরিশেষে ইতিহাস গবেষক হয়ে ধন্য করেছেন সবাইকে। গত কদিন অবাক চোখে চেয়ে দেখছি প্রাজ্ঞজন দীপেশ চক্রবর্তীকে। আরও দেখছি উনাকে নিয়ে ইতিহাস পাগল বাঙ্গালের উচ্ছাসের অন্ত নেই। ভদ্রলোকের বর্তমান বলছে তিনি শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপক। তিনি এর বাইরে আরও কয়েকজটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ইতিহাস নিয়েই বক্তব্য পেশ করেন, ক্লাস নেন আরও কত কি করেন। পাশাপাশি কিছু ইতিহাস জার্নালেরও সম্পাদক তিনি।
বর্তমানের পেছনে উনার অতীতটা একটু চর্চা করা যাক। ইউনিভার্সিটি অব কলকাতার অধীনে প্রেসিডেন্সি কলেজ তিনি পদার্থবিজ্ঞায় স্নাতক হন প্রথমে। তারপর কলকাতা ইন্সটিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট থেকে একটা এমবিএ করেন। তারপর অনেকটা অবাক করে দিয়ে তিনি চলে যান অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব ক্যানবেরায়। সেখানে তিনি সব বিষয় বাদ দিয়ে পিএইচডি করেন ইতিহাস বিষয়টিতে। আমার প্রশ্ন পদার্থবিজ্ঞানের স্নাতক, তারপর এমবিএ নিয়ে যদি দীপেশ চক্রবর্তী বিশ্বইতিহাসের হর্তাকর্তাদের একজন হন; তবে আমরা যারা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের স্নাতক আমাদের পাপটা কোথায়?
প্রসঙ্গত বলে রাখা ভালো জা.বি প্রত্নতত্ত্ব বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের সিলেবাসে যে কয়টা ইতিহাস কোর্স পড়ানো হয় সেটা মেলালে অনেক ইতিহাস বিভাগের থেকে বেশি। এখানে বাংলার ইতিহাস থেকে বিশ্ববিশ্বসভ্যতা হেন ক্ষেত্র নাই যা নিয়ে কোর্স নাই। এর বাইরে থিওরি, রিসার্স মেথডোলজি, জেন্ডার স্টাডিজ, মিউজিয়াম স্টাডিজ নামে কিছু ব্যতিক্রমী কোর্সও চালু আছে। দীপেশ পদার্থবিদ্যা কিংবা এমবিএ থেকে আসলেও ইতিহাস কোর্সসহ প্রত্নতত্ত্ব পড়ে আমরা কেনো দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় এমনকি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়েও ইতিহাস বিভাগে শিক্ষকতার সুযোগ পাবো না। পরিতাপের বিষয় হলেও নির্মম সত্য এটাই যে বাংলাদেশের যেখানে ইতিহাস কিংবা ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ রয়েছে আমাদের বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা নানাভাবে সেখানেই উপেক্ষিত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের পর বিশ্বসাহিত্যকেন্দ্র দীপেশ চক্রবর্তীর বক্তব্য মন দিয়ে শুনেছি গত দুদিনে। মজার বিষয় হচ্ছে উনি তত্ত্বকথায় ইতিহাস নিয়ে খেলা করেছেন দারুণ। আমরা যারা একটু কম বুঝি, কম জানি তম্ময় হয়ে শুনেছি ঘণ্টার পর ঘণ্টার বক্তব্য। তবে ফলিত বিজ্ঞানের গবেষণাগুলোতে মূল বিজ্ঞান গবেষণা অনুপস্থিত থাকে। সেখানে গবেষণার প্রায়োগিক ও বাণিজ্যিক দিক মূখ্য হয়ে ওঠে। সেখানে উনার বক্তব্যে দেখা গেছে তত্ত্বগুলো ইতিহাসনির্ভর না হয়ে বর্ণিত ইতিহাস হয়ে গেছে তত্ত্বাশ্রয়ী যা শুনলে মনে হয় আগে থেকেই ঠিক করে রাখা।
যাই হোক, নির্লজ্জ্ব আত্মপ্রচারের মত শোনালেও সত্য; আমার উচ্চ-শিক্ষাজীবনের মাঝপথে হঠাৎ ইতিহাস বিষয়ক লেখালেখির অনাকাঙ্খিত সুযোগ পেয়েছিলাম অধ্যাপক একেএম Shahnawaz স্যারের কল্যাণে। অনেকটা টেস্ট খেলে ক্রিকেট অভিষেকের মত দিনে ৩০ ওভার বল করে ক্রিকেটে জায়গা নিতে হয়েছে। ফলে সামনের ওয়ানডে কিংবা টি-টুয়েন্টি যাই আসুক মনে হয় খেলো তো ক্রিকেটই। অনেক কষ্টের সঙ্গে স্মরণ করতে হয় জানি না রাগ বিরক্তি থেকেই কিনা স্যার আমার হাতে ধরিয়ে দিয়েছিলেন ইতিহাস তত্ত্বের গাদা গাদা বই। নাম বলেছিলেন অনেকগুলো কাটখোট্টা বইয়ের। সেগুলো স্যারের নির্দেশে কিনে আনতে হয়েছিলো নানাভাবে। ই-বুক প্রিন্ট দিয়েও বই বানানো হয় অনেক। পরিশেষে বলা যায় তত্ত্বকথা নিয়ে অনেকটা কুস্তি লড়তে হয়েছিলো আমাকে। মাস চারেক শুধু পড়ার পর স্যার লেখার অনুমতি দিয়েছিলেন।
তারপর সাহসে ভর করে প্রথম অধ্যায় যখন লিখতে চেষ্টা করেছি; ভেবেছি এত যখন পড়লাম সিস্টেমে পাবলিককে বুঝিয়ে দিই দেখ বেটা কি পড়া পড়েছি; তুই পড়তে পড়তে মর। যা চিন্তা তাই কাজ। বেশ খুশি মনে চ্যাপ্ট্যারের অংশবিশেষ নিয়ে উপস্থিত হলাম স্যারের সামনে। পরে মনে হয়েছিলো কোনো বদ্ধ কুয়ায় লাফ দিয়ে মারা গেলে ভালো হত। স্যার প্রথমে এক দুই পাতা পড়ে পুরো লেখাটা ডিলিট করে দিলেন। স্পষ্ট মনে আছে ১১ এপ্রিল ২০১২। দিনটা ভুলিনি; রাগে ক্ষোভে যখন চোখে পানি আসে আসে অবস্থা। স্যারের কণ্ঠস্বরে সামলে নিলাম নিজেকে। সতর্ক হয়ে শুনতে থাকি। স্যার বললেন {তুমি কি পড়েছো কিংবা আমরা কতগুলো রেফারেন্স দেখেছি, এটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। তোমার খেয়াল করতে হবে তুমি কাদের জন্য লিখছো? একজন পাঠকের জায়গা থেকে চিন্তা করো যা লিখেছো তুমি কি বুঝতে পারছো যা জানতে চাও তার কোনও উত্তরই এখানে নেই} অবাক হয়ে দেখলাম নিজের লেখা পড়তে নিজেই বিরক্ত লাগছে।
তারপর আবার মাসখানেক পর যখন লেখা দিলাম। স্যার বললেন তোমার বোধগম্যতা ৬০% এর মত। আরেকটু চেষ্টা করতে হবে। তবে প্রথম অধ্যায়টি যেভাবে কাটা ছেঁড়া করলেন স্যার। ভয়ে মনে হচ্ছিলো আরেকদফা চ্যাপ্টার ডিলিট না হয়ে যায়। শেষ অবধি যখন চ্যাপ্টারের কাজ শেষ হয় নিজের ভাবতে অবাক লাগছে একটা লেখা এভাবে সহজ করে বলা যায়। রাগে ক্ষোভে বলেই বসেছিলাম। স্যার এতো বই লিখেছে সবাই, এভাবে লিখলে আর এই যন্ত্রণা পোহাতে হত না। আম জনতার প্রয়োজনে এভাবে সহজীকরণ প্রকল্প হাতে নিয়ে লাভ হচ্ছে স্যার? পরে দেশের কথিত বিজ্ঞজনরা বলে বসতে আমাদের লেখা ভারী লেখা হয়নি? এগুলো পা-ফাটা জনগণের জন্য রচিত এবং অবশ্যই গবেষণালব্ধ নয়।
লেখালিখির ক্ষেত্রে দুর্বোধ্যতার যে প্যাঁচ তার জটিলতা লক্ষ্য করি ইতিহাসের কার্যকারণ, তত্ত্ব ও প্রকৃতিগত বিশ্লেষণ করতে গিয়ে। অনেকে মন খারাপ করলেও বলতে বাধা নেই ইতিহাসকে শিক্ষার্থী ও চিন্তাশীলদের জন্য কঠিনই করে তুলছে সাব-অলটার্ন স্ট্যাডিজ। দীপেশের সুন্দর সুললিত বক্তব্যেও ঐ জোরপূর্বক তত্ত্বকথা এবং পলে পলে মুখস্থ রচনার মত মার্ক্স দেরিদা, হোমি ভাবা, গায়ত্রী স্পিভাক উপস্থিত। আমরা কাঠামোবাদের বাইরে এসে ভাবতে চাই। আমরা উত্তর আধুনিকতায় নিজেদের চিন্তাকে পরিশীলিত করতে চাই। আমাদের এই ভাবনার জগৎটাকে তৈরি করাই ছিলো সাব-অলটার্ন স্টাডিজের কর্তব্য। আমরা শিক্ষানবীশ হিসেবে সেভাবেই এক এক করে পা ফেলেছি। কিন্তু পুরোধাদের বক্তব্য মাঝে মাঝে আমাদের হতাশ করে। আমরা দেরিদার অবিনির্মানের পথ ধরে হাঁটতে গিয়ে হয়ত ভুলেই নির্মাণ করে বসছি একটি স্ব-নির্বাচিত, স্বতঃপ্রণোদিত পথ যা হয়ত শুরুতে কাঙ্খিতই ছিলো না।
আমরা কাঠামোর বাইরে যাওয়ার ব্রত নিয়ে চুপিচুপি ঢুকে পড়ছি পূর্বনির্ধারিত একটি উত্তর-ঔপনিবেশিক বিউপনিবেশায়ন তত্ত্বে তাড়িত জ্ঞানকাঠামোতে। আর এই ধাঁচে ইতিহাস চর্চার বর্তমান রীতি আমাদের ধরে নিয়ে ঢুকাচ্ছে নতুন এক ইতিহাসের উঠোনে। আমরা এখানে সাজানো মঞ্চে পুতুল নাচের মত ইতিহাস দেখছি, পড়ছি, শুনছি ও মেনে নিতে বাধ্য হচ্ছি। মাঝে মাঝে এখানকার ইতিহাসের সূত্রগুলো অসহায় পুতুল আর তার সবগুলো সুতো আছে তত্ত্বকথার হর্তাকর্তাদের হাতে। তারা কখনও এই সুতো ধরে হ্যাঁচকা টান দিচ্ছেন সাব-অলটার্ন স্ট্যাডিজের নামে, কখনও ন্যাশনালিজমের নামে কিংবা জোর করে উপনিবেশকে বৈধ প্রমাণ করার ওরিয়েন্টালিস্ট অ্যাপ্রোচ থেকে। এর থেকে একটু মুক্ত হয়ে সূত্রনির্ভর ইতিহাসচর্চার শুদ্ধ ধারার জন্য কি আমাদের আরও এক আলোকবর্ষ অপেক্ষা করতে হবে নাকি কে জানে ? তবুও দীপেশ চক্রবর্তীকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
অসম্ভব বিনয়ী এবং জ্ঞানী এই মানুষটার বক্তব্য শুনে ইতিহাসের তত্ত্বকথা বিষয়ক কিছু জানতে পেরে উনার প্রতি কৃতজ্ঞ। মঞ্চে উপবিষ্ট সুধীজনদের মধ্যে কথা বলার সুযোগ পাওয়া অসম্ভব। তাই দূর থেকে এই মৃদু অভিযোগ মিশ্রিত শ্রদ্ধাঞ্জলি লিখে রেখেছিলাম শ্রদ্ধাভাজন দীপেশ চক্রবর্তীর জন্য। সত্য বলতে আমি অপেক্ষায় আছি দীপেশ চক্রবর্তী আবার কবে আসবেন বাংলাদেশে। কিংবা বিশ্বের অন্য কোথাও উনার সঙ্গে সাক্ষাত হবে আমার। তারপর উনাকে করার মত অনেক প্রশ্ন আছে আমার। সবথেকে বড় প্রশ্ন এখনও মাথায় ঘুর ঘুর করছে তত্ত্বগুলো ইতিহাসনির্ভর না হয়ে বর্ণিত ইতিহাস কিভাবে তত্ত্বাশ্রয়ী হয়? এমনি কাঠামোতেই যখন ঢুকতে হবে তাহলে আধুনিক জ্ঞানপ্রকল্প আর আদিখ্যেতার পার্থক্যটাই কোথায়? আগে থেকে তত্ত্বচিন্তাই যদি ইতিহাসের পথনির্দেশ করে থাকে তাহলে ইতিহাস গবেষণার ক্ষেত্রে তথ্যের গুরুত্ব কোথায়?
পাদটীকায় যুক্ত করে রাখছি আমার অন্যতম প্রিয় লেখক Sumon Rahman এর স্ট্যাটাস। তিনি এই সেমিনার শেষে আক্ষেপ করে লিখেছিলেন হায় সেমিনার, তুমি কেবলি ক্যামেরার। বাংলাদেশ ইতিহাস সমিতি আয়োজিত প্যানেল আলোচনা শুনতে গিয়েছিলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। তিনজন আলোচক আর তিনজন ক্রিটিক বা ডিসকাসেন্ট। আলোচকেরা হলেন কুনাল চক্রবর্তী, রিচার্ড ইটন আর তানিকা চক্রবর্তী। তাদের ক্রিটিক বা ডিসকাসেন্ট যথাক্রমে স্বাধীন সেন (আর্কিওলজিস্ট), ফখরুল আলম (ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপক) ও সোনিয়া নিশাত আমিন (ইতিহাসবিদ)। মডারেটর দীপেশ চক্রবর্তী। আলোচকেরা লিখিত প্রবন্ধই পড়লেন, যদিও একটা ইনফর্মাল আলোচনা অনুষ্ঠিত হবার দাবি ছিল অনুষ্ঠানের অবয়বে। বিষয়গুলো ইন্টারেস্টিং: রিচার্ড ঈটন বললেন রাজপুত কিভাবে একটা মিলিটারি ক্যাটাগরি থেকে সামাজিক শ্রেণী/বর্গে পরিণত হল, কুনাল চক্রবর্তী দেখালেন কিভাবে পৌরাণিক প্রেক্ষাপট থেকে “বাংলা” একটি সাংস্কৃতিক অঞ্চল হিসেবে দাঁড়াল, আর তানিকা বললেন “সতী”র আত্মপরিচয় নিয়ে।
প্রতি-আলোচক বা ডিসকাসেন্টদের মধ্যে সোনিয়া আমিন ইতিহাসবিদ বা ইতিহাসের অধ্যাপক। স্বাধীন সেন পুরাতত্ত্বের, সেই অর্থে ইতিহাসের সাথে তার বংশলতিকায় সম্পর্ক আছে। কিন্তু ফখরুল আলম? ইংরেজির অধ্যাপক, ইতিহাস বিষয়ে তার কোনো আগ্রহ বা পারদর্শিতার কথা আমার অন্তত জানা নেই। তবু তিনি আলোচক! এটা বেশ অদ্ভূত! আমাদের দেশে যে কোনো আন্তর্জাতিক মাপের সভা-সেমিনার হলে ইংরেজি সাহিত্যের কয়েকজন অধ্যাপককে থাকতেই হয়। সেটা কি এজন্য যে, এনারা ইংরাজিটা ভাল বোঝেন, এবং অন্যরা বোঝে না? যাই হোক, সমাজতত্ত্ব হোক, সাহিত্য হোক, দর্শন হোক, ইতিহাস হোক, আমরা ফখরুল আলমদের কাছেই ঋণী থাকবো! ফখরুল তার স্বভাবসিদ্ধ বলবার ক্ষমতায় উতরে গেছেন, অন্তত ইতিহাসের সোনিয়া আমিনের মত লেজে গোবরে করে ফেলেন নাই। স্বাধীন সেন এনগেইজ করেছেন, দুটো খুব ভাল প্রশ্নও ছুঁড়েছেন কুনালকে।
সবচে মজা লেগেছে দর্শক-শ্রোতাদের বেশিরভাগের অবস্থা দেখে। বাংলাদেশে যে ফেস্টিভাল-মহামারি চলছে, এখানে অনেকের আসা-বসা-আর সেলফি তোলার মধ্যে তারই আঁচ পাওয়া গেল। ঘুমের এমন মোক্ষম সুযোগ অনেকেই ছাড়লেন না (ছবি দ্রষ্টব্য)। প্রশ্নোত্তর পর্ব আরো মারাত্মক। একটা প্রশ্ন করবার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু প্রশ্নকর্তা হইবার জন্য যে দীপেশ-বরাবর অনেকগুলো লবি করতে হয় আগে বুঝি নি! আলোচনা আরম্ভ হবার আগেই সম্ভবত লবি হয়ে গেছিল। সেই বাবদে নর্থ সাউথের অধ্যাপক এমদাদ দাঁড়ায়ে যা বললেন, তার সারাংশ হল, তিনি নর্থসাউথে পড়ান, এবং কী পড়ান, ইত্যাদি। আরেকজন অতিপ্রবীণ ঢা.বি ফ্যাকাল্টি যে কী বললেন, কাকে বললেন, সেটা দীপেশ তো দূরের কথা, দীপেশের ভগবানও বুঝতে সক্ষম হন নাই। এভাবে আরো কয়েকটা চলবার পর সেই হরর শো বন্ধ করে দেয়া হল। তদ্বির করি নি, তাই প্রশ্নখানি আর করা হল না। পুরো অনুষ্ঠানে সবচে ভাল হয়েছে প্রজেকশন। আলোচকদের বাইরে সবচে পেশাদারি মনে হয়েছে ক্যামেরাপারসনদের। তাদের সুবাদে বড় স্ক্রিনে এই ছোট ছোট সেলিব্রিটিদের দেখতে পাওয়া গেল।