বাংলাদেশের বেশিরভাগ অসৎ ব্যবসায়ী পারিবারিক জীবনে মারাত্মক অসুখী। টাকার লোভে বড়লোকের বাচ্চাহাতি মেয়েকে বিয়ে করে বাসর রাতে লাথি খেয়ে খাট থেকে ছিটকে পড়া লোকের সংখ্যাই তাদের মধ্যে বেশি। ফলে সংসার জীবনে অশান্তির পাশাপাশি যৌনজীবনে যৌনকর্মীদের উপর তাদের নির্ভরশীলতা বেশি। এক্ষেত্রে যৌনকর্মী হিসেবে তার ব্যবসায়িক পার্টনার কোনো কুলটা, এপিএস কিংবা উঠতি মডেল সবাইকেই ধর্তব্যের মধ্যে নিতে হবে। পাশাপাশি অন্যায় পথে অর্থ উপার্জন তাদের বাড়ি-গাড়ি- নষ্ট নারী সবকিছু দিলেও শান্তি দিতে পারে না। ফলে মানসিক বিপর্যয়ের বিপরীতে নানা ধরণের শরীরবৃত্তীয় জটিলতা তাদের নিত্যসঙ্গী।
দুশ্চিন্তা, প্রতিপক্ষের হুমকি-ধামকি আর অসন্তুষ্টি নিয়ে এসব অসৎ ব্যবসায়ীর অবসরযাপনের একমাত্র কাজ মদ গেলা। একটা গরু তার বাছুরকালে যে পরিমাণ ভাতের মাড় খায় না দুশ্চিন্তার কালে একজন অসৎ ব্যবসায়ী তার থেকে কয়েকগুণ বেশি মদ গিলে থাকে। অন্যদিকে একদিনে প্যাকেটের পর প্যাকেট সিগারেট শেষ করাটা তাদের জন্য ডালভাত। ফলে তাদের ফুসফুস, হার্ট, কিডনি, প্যানক্রিয়াস, পাকস্থলী এমনকি দুইটা অণ্ডকোষ কোনোটাই ঠিকঠাক অক্ষত থাকার কথা না। অন্যদিকে অনৈতিক যৌনাচারের পাশাপাশি উশৃঙ্খল জীবনাচারের কারণে সিফিলিস, গণোরিয়া কিংবা একশিরা আক্রান্ত ব্যবসায়ীর সংখ্যাও কম নয়।
আমি মনে করি বাংলাদেশে করোনা ছড়িয়ে পড়ার পর সাধারণ পুষ্টিহীনতায় ভোগা বস্তিবাসী, আমাদের মতো রাতের পর রাত জেগে বইয়ের পাতায় বুঁদ হয়ে থাকা শিক্ষক, লেখক কিংবা গবেষকদের থেকেও বিপদাপন্ন হতে পারেন ঐসব ফুসফুস, হার্ট, কিডনি কিংবা অণ্ডকোষ নষ্ট হওয়া ব্যবসায়ীরা। আজব ব্যাপার এরা নিজেদের নিরাপত্তার কথাটাও ভাবছে না। যদি তাই ভাবতো নিজের স্বার্থে এখন ডাক্তারদের সুস্থ রাখার যুদ্ধটা শুরু করে দিতো। অন্তত ডাক্তারদের বাঁচানো গেলে কিছু না হোক মরার আগে একটা চিকিৎসেবা প্রাপ্তির সুযোগ ছিল।কিন্তু তারা এটা না করে প্রাণরক্ষায় জানবাজি রেখে লড়তে থাকা ডাক্তারদের জীবনকেও বিপন্ন করছে। মাস্ক তৈরিতে জাঙ্গিয়াছেঁড়া ত্যানা আর পিপিই বানাতে প্লাস্টিকের রেইনকোর্ট দিচ্ছে। যারা নিজের ভাল বোঝে না তাদের কে বাঁচাবে। আমি তাও একজন সচেতন মানুষের দায় থেকে এসব লম্পট, মদখোর এবং খচ্চর ব্যবসায়ীদের বাঁচার রাস্তা দেখাচ্ছি।