আকবর আলী খানের দুটি বই বাংলাদেশের সত্তার অন্বেষা কিংবা বাংলায় ইসলাম প্রচারে সাফল্য অথবা রিচার্ড ইটনের তত্ত্ব বাংলায় ইসলাম নিয়ে যাই বলুক এখানে একটা বিষয় স্বতঃসিদ্ধ। বিশেষ করে স্থানীয় জনগোষ্ঠী ইসলামে দীক্ষিত হয়েছে। খেয়াল করলে দেখা যায় তাঁদের সিংহভাগ ছিলেন মূর্তিপূজারী। এই মূর্তিপূজা শুধু তাদের ধর্মই নয় একদিন থেকে দেখতে গেলে সংস্কৃতিরও অংশ। তাই খেয়াল করে দেখুন বিশ্বের কোথাও এত মাজারপূজা নেই যা বাংলাদেশ ও ভারত উপমহাদেশে আছে। প্রত্নতত্ত্বের স্তর বিন্যাসের মত এটাকেও কি সংস্কৃতির সুপারপজিশন কিংবা ইউনিফরমিটারিয়ানিজম হিসেবে ব্যাখ্যা করা যায় না ?
সূরা আল কাহফের তাফসীর থেকে খেয়াল করলে দেখবেন, মহানবী সা. বলে গেছেন ঐ ব্যক্তিই নিকৃষ্ট যে মাযারের খাদেম। তারপরেও দেশজুড়ে এত মাযার, এত্ত খাদেম কিভাবে? আরেকটু খেয়াল করলে দেখা যায় সবথেকে নিকৃষ্ট গুনাহ শিরকের। তারপরেও মাযারে গিয়ে মানুষ শিরক করছে কেনো? এই বিষয়গুলো বুঝতে মধ্যযুগের বাংলার সামাজিক-সাংস্কৃতিক ইতিহাস বিশ্লেষণ করতে হবে। বিশেষ করে সুফিবাদের সঙ্গে বৈষ্ণববাদের যে মিল সেখান থেকে এর বিশ্লেষণ জরুরী। আর সেটা করা সম্ভব হলে তবেই বোঝা যাবে ইতিহাসের মূল বাস্তবতা। নচেৎ এ কাফের ও ভণ্ড নামে হুজুরদের মধ্যে ব্লগারদের মত যে অসুস্থ প্রবণতা তার থেকে সহজে মুক্তি মিলবে না।